সংবাদ শিরোনামঃ
লক্ষ্মীপুরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলামের আগমনে জেলাপ্রশাসন ও জেলা পুলিশ প্রশাসনের শুভেচ্ছা কমলনগর উপজেলা আ’ লীগের সভাপতি মোঃ নিজাম উদ্দিনের সুস্থতায় কমল নগরের মানুষের মাঝে আনন্দ অশ্রু বৃহত্তর নোয়াখালী আন্ত:স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা -২০২৩ লক্ষ্মীপুর কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজে অনুষ্ঠিত ফুটপাত দখলমুক্ত করা প্রয়োজন ঔষধ কোম্পানি গুলো মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ ফেরত নিতে গড়িমসি করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভোক্তারা লক্ষ্মীপুরে অস্ত্র -গুলি সহ যুবলীগ নেতা হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার, লক্ষ্মীপুর -৩ সদর আসনের নির্বাচনে অনিয়ম রোধে অনুসন্ধান কমিটি লক্ষ্মীপুরের কৃতি সন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড,মাকসুদ কামালকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান দুস্থ মানবতার সেবায় এগিয়ে আসা “সমিতি ওমান ” কর্তৃক চট্টগ্রামে ইফতার সামগ্রী বিতরণ লক্ষ্মীপুরে নবাগত পুলিশ সুপার কে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী স্বরণে মেহেদী হাসান রাসেলের কুরআন ও হাদিসের আলোকে উপস্থাপন  লক্ষ্মীপুরে নতুন পুলিশ সুপার আকতার হোসেন লক্ষ্মীপুরে যুবদল নেতা ইকবালের নেতৃত্বে সৌদি প্রবাসীর জমি দখল করে দেওয়ার অভিযোগ
ইতিহাস আর কেউ মুছতে পারবে না, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবেই : শেখ হাসিনা

ইতিহাস আর কেউ মুছতে পারবে না, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবেই : শেখ হাসিনা

ভিবি নিউজ ডেস্ক:

অতীতের মতো ভবিষ্যতে আর কখনই বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃতি সম্ভব হবে না, এমন দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই দেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবই। তিনি বলেন, ইতিহাস একেবারেই মুছে ফেলা হয়েছিল, পুরো পরিবর্তন। এখন একটা আত্মবিশ্বাস এসে গেছে বাংলাদেশের ইতিহাস আর কেউ বিকৃত করতে পারবে না, আর মুছতে পারবে না। সেজন্য আমি দেশের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বাংলাদেশ স্বাধীন, বাংলাদেশ স্বাধীনই থাকবে এবং আমার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সকালে তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকের প্রারম্ভিক সংক্ষিপ্ত ভাষণে একথা বলেন। কেননা আজকের দিনটি তার ৪০তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। জাতির পিতা হত্যাকান্ডের পর বাধ্য হয়ে ছয় বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে সামরিক জান্তার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে একরকম জোর করেই ১৯৮১ সালের ১৭ মে তিনি দেশে ফিরে আসেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিসভার সদস্যগণ সচিবালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে প্রচ- বৈরী পরিস্থিতিতে তার দেশে ফিরে আসার সময়কার স্মৃতিচারণ করে বলেন, সে সময় অনেক ঝড়-ঝাপটা এবং বাধা অতিক্রম করেই আমাকে দেশে আসতে হয়েছিল। তখনকার সরকার কিছুতেই আমাকে আসতে দেবে না, আমার বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র অনেকভাবে চিঠিপত্র পাঠিয়ে বিভ্রান্ত করার অনেক চেষ্টাই করা হয়েছিল। তিনি বলেন, আমি জানতাম জাতির পিতার হত্যকারীরাই তখন ক্ষমতায়, খুনিদের ইনডেমনিটি দেয়া হয়েছিল। ওই অবস্থায় আমি চলে এসেছি। কিছুই চিন্তা করিনি। কারণ, এই স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে পারে না। এই স্বাধীনতাকে আমার সফল করতেই হবে- এভাবেই একটা প্রতীজ্ঞা আমার আর রেহানার সবসময় ছিল।

তিনি ১৭ মে তার ফেরার দিনটির ঝঞ্ঝা বিক্ষুদ্ধ আবহাওয়া স্মরণ করে বলেন, এসেছিলাম তো ঝড় মাথায় নিয়ে। সেদিন ৬০ মাইল বেগে ঝড় হচ্ছিল, তখন আমি ট্রাকে। আর হাজার হাজার মানুষ রাস্তায়। তিনি বলেন, আমি কৃতজ্ঞতা জানাই তখনকার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের যারা আমার অবর্তমানে আমাকে সভাপতি নির্বাচন করে এবং আমি যেটা জানতাম না। তারপর থেকে যারা আমার সঙ্গে ছিল এবং এদেশের জনগণ, যে জনগণের শক্তিটা হচ্ছে সবথেকে বড় শক্তি। কারণ, আমি যখন বাবা-মা, ভাই-বোন হারিয়ে এদেশে এসেছি গ্রামে-গঞ্জে যেখানেই গিয়েছি সাধারণ মানুষ, গ্রামের মানুষ তাদের অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। অনেক স্নেহ, অনেক দোয়া কাজেই আমার মনে হয়, ওই শক্তিটাই সব থেকে বড় শক্তি ছিল।

তিনি বলেন, আমরা নিজেদেরকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছি। দেশি-বিদেশি নানা বাধা জয় করে আমরা এই অবস্থানে এসেছি। তিনি বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ এখন স্বাধীন এবং এটি স্বাধীন থাকবে। আমরা এটিকে জাতির পিতার সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব, তিনি পুনরায় নিশ্চিত করেন। শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ এখন যেখানে দাঁড়িয়েছে, সেখান থেকে আগামী দিনে আরো এগিয়ে যাবে।

১৯৮১ সালের এদিনে দীর্ঘ নির্বাসন শেষে তিনি বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন। এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং বিমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লী থেকে কোলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হন। এসময় তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রবাসে থাকায় ঘাতকদের হাত থেকে তারা রেহাই পান। পরবর্তী সময়ে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এরপরেই তিনি ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন। শেখ হাসিনাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত প্রায় ১৫ লাখ মানুষের হৃদয় ছোঁয়া ভালোবাসার জবাবে এদিন তিনি বলেন, বাংলার মানুষের পাশে থেকে মুক্তির সংগ্রামে অংশ নেয়ার জন্য আমি দেশে এসেছি। আমি আওয়ামী লীগের নেত্রী হওয়ার জন্য আসিনি। আপনাদের বোন হিসাবে, মেয়ে হিসাবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগের কর্মী হিসাবে আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই।


© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developer: Tanveer Hossain Munna, Email : tanveerhmunna@gmail.com